আরজি করের ঘটনায় বিচারের দাবি উঠল এবার দিল্লিতেও। দাবি উঠল খোদ ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে থেকেই। রাজ্যের সমালোচনা না করলেও কলকাতার চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, "কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে একজন জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা হৃদয় বিদারক। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা দেশে একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।"
রবিবারের পর কেন সিবিআই তদন্ত? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "এখানে মুখ্যমন্ত্রী গেলেন চারদিন পর। কী বললেন। পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি। পুলিশ ঠিকমতো না করতে পারলে রবিবার সিবিআইকে দেব। রবিবার বললেন কেন। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত হয়েছেন, পুলিশ মোটামুটি সব তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে ফেলেছে। আরেকবার পোস্টমর্টেমের সুযোগ রাখেনি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম। সিবিআই-কে দেওয়া না দেওয়া ওনার দায়িত্ব। উনি হাতে ধরে রেখেছেন। কোন লজ্জায় এখনও পুলিশ মন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রক হাতে ধরে রেখেছেন। দ্রুত ওনার পদত্যাগ করা উচিত।"
সোমবার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "আরও একবার ধনঞ্জয়ের মতো ঘটনা এই রাজ্যে। কোনও এক ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়ে এই ঘটনার বিচার সম্ভব নয়। এর মধ্যে অনেক কিছু আছে। কোনও বড় লোক যুক্ত আছে। তা ঢাকার জন্য পুলিশ আগে পৌঁছে গিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কোথায়। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যখনই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে, সে হঠাৎ বলে সিবিআই তদন্তের আপত্তি নেই। এর কারণ কী। আমরা ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে, তাতে পুলিশের ভূমিকা দেখেছি। এরকম পরিস্থিতিতে কোনও বড় কেউ যুক্ত আছে। না হলে এই ঘটনা ঘটত না।"
আরজি করের ঘটনায় রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে শহরে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি ডেলিনা খানডুপ। লালবাজারে বৈঠকের পর তিনি যেতে পারেন সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে।