২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) কুচকাওয়াজে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) নেতাজি (Netaji Subhash Chandra Bose) ট্যাবলো। সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) প্রথমে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই নিয়ে হয়েছিল বিস্তর জলঘোলা। উঠেছিল রাজনীতি করার অভিযোগ। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও রাজনীতি ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। পরবর্তী সময়ে নবান্নের সিদ্ধান্ত নেয়, রাজ্যের এই ট্যাবলো থাকবে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে।
সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court) এই ট্যাবলো বাতিল নিয়ে ফের একবার ব্যাখা দিল কেন্দ্র। এদিনের শুনানিতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুরের ব্যাখা, নেতাজির তৈরি আজাদ হিন্দ ফৌজ (Ina) নৌবিদ্রোহের সময় যোগ দিয়েছিল ভারতীয় সেনার সঙ্গে। সে সময় নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে একটি ট্যাবলো তৈরি হয়েছে। সে জন্যই আলাদা করে ওই ট্যাবলোর রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। অপর দিকে, এত কম সময়ের মধ্যে আদলত পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে মামলাটি।
আরও পড়ুন : 'স্বাধীনতা অর্জন করতে শিখিয়েছিলেন নেতাজি', মূর্তি উন্মোচন করে বললেন প্রধানমন্ত্রী
গত বৃহস্পতিবার আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলারই শুনানি হয়েছে এদিন। শুনানিতে রমাপ্রসাদের সওয়াল, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে নেতাজির ট্যাবলো বাতিল হল? কেনশুধু নেতাজির ট্যাবলোকে বাদ দেওয়া হল?’’ তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এত দেরি করে কেন এলেন?’’ এত কম সময়ের মধ্যে আদালত কী করতে পারবে তানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
কেন্দ্রের হয়ে সওয়ালে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর বার বার তুলে ধরেন, কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজির বিষয়ে কতটা সজাগ। তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশের কাজ শুরু করে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সারা দেশ নেতাজিকে নিয়ে গর্ব করে। তিনি আমাদের আইকন। তাঁর হলোগ্রাম বসানো হয়েছে। অগস্টে মূর্তিও বসানো হবে। এটা মনে রাখতে হবে নেতাজি শুধু বাংলার নন, সারা ভারতের।’’