শপথ সংঘাত। সমরে সেই রাজ্য বনাম রাজ্যপাল। সোমবার থেকে বিধানসভায় শুরু হয়েছে অধিবেশন। আর এই দিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শপথ নেবেন নব নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের চার বিধায়ক। কিন্তু এই খবরের মধ্যে এল রাজভবন থেকে পত্রবোমা। যেখানে প্রশ্ন তোলা হল, কার নির্দেশে বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন। সম্প্রতি শপথ নেওয়া তৃণমূলের এই দুই বিধায়কের শপথকে অসাংবিধানিক বলেই দাবি করা হয়েছে।
গত ১৩ জুলাই রাজ্যে উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে মানিকতলা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সুপ্তি পান্ডে, রায়গঞ্জ থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণ থেকে জয়ী হয়েছেন মুকুটমণি অধিকারী এবং বাগদা থেকে জয়ী হয়েছেন মধুপর্ণা ঠাকুর। বিধানসভায় এদিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শপথ নেবেন নবর্নিবাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের চার বিধায়ক, যদিও রাজভবন থেকে এই ব্যাপারে ইতিবাচক কোনও সাড়া নেই, তবে মঙ্গলবার বেলা একটায় চার বিধায়কে শপথ পাঠ করানো হবে।
রাজ্যের এই প্রস্তুতির মধ্যেই গত উপ-নির্বাচনে জয়ী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেনের শপথ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল রাজভবন। এদিন এক চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের থেকে মোট ৩৭টি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন। তার মধ্যে বড় প্রশ্ন, কার নির্দেশে বিধায়ক হিসাবে শপথ নিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন ? রাজভবন মনে করে, এই শপথ অসাংবিধানিক। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, স্পিকারের এক্তিয়ার নেই রাজ্যপালকে এড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোর। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী যদি ডেপুটি স্পিকার শপথবাক্য পাঠ না করান, তবে তা অসাংবিধানিক।
এই ব্যাপারে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেনের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুই বিধায়কের ৫০০ টাকা জরিমানা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে। স্পিকারকে বিষয়টি জানাবেন বলে জানিয়েছেন সায়ন্তিকা। উপনির্বাচনে বরাহনগর থেকে জয়ী সায়ন্তিকা এবং ভগবানগোলা কেন্দ্রে জয়ী রেয়াতকে গত ৫ জুলাই শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।