গত ৯ অগাস্ট পরবর্তী সময় থেকে এটাই ছিল বাংলার প্রশ্ন ? এই সময়ের মধ্যে অনেক ঘটনার সাক্ষী কলকাতা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে সরকারি হাসপাতালের মধ্যে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় নতুন করে উত্থান হয়েছে নাগরিক সমাজের।
অবশেষে শুরু হল আরজি করের ঘটনার বিচার। সোমবার নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল শিয়ালদহের বিশেষ সিবিআই আদালতকে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রথম চার্জশিট ফাইল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
প্রাথমিক চার্জশিটে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক সঞ্জয় রায়। যাকে ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। প্রশ্ন ওঠে এরপর এই ঘটনায় সিবিআইয়ের সাফল্য কোথায় ? তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত দুটি পৃথক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুর্নীতি এবং মহিলা চিকিৎসকের ঘটা নারকীয় ঘটনার তথ্য-প্রমাণ লোপাটের। তাঁর সঙ্গী হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার তৎকালীন অফিসার-ইন-চার্জ অভিজিৎ মণ্ডল। নাগরিক সমাজ ও জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্নের জবাবে আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, এই দু জনের নাম চার্জশিটে নেই মানে তার অর্থ থাকবে না। পরবর্তী চার্জশিটে সন্দীপ ও অভিজিতের নাম থাকতে পারে বলে আদালতে দাবি করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, সপ্তাহে চার থেকে পাঁচদিন টানা শুনানি চলবে। আদালতের বন্ধ ঘরে হবে শুনানি। এই মামলার প্রথম দিনে নির্যাতিতার বাবার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও এই মামলায় ৫১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হতে পারে। যদিও চার্জশিটে মোট ১২৮ জন্য সাক্ষীর কথা উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
একসঙ্গে কত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। সিবিআই সূত্রে দাবি, সারাদিনে দুই থেকে তিন জনের। সেই হিসাব করলে ডিসেম্বর মাসের চতুর্থ সপ্তাহে শেষ হচ্ছে আরজি কর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। এদিন দুপুরে নির্ধারিত সময়ে আগে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতার বাবাকে। সিবিআইয়ের গাড়িতে আদালতে উপস্থিত হন তিনি।