আরজি কর কাণ্ডে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব থেকেই উঠে আসছে নানা তথ্য। ইতিমধ্যেই, সন্দীপের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি দমন মামলায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন আরজি করের তৎকালীন ডেপুটি সুপার এবং অধুনা বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, সেইসময়েই একবছর আগের ওই অভিযোগটির ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়।
অভিযোগ, ব্যবহার হয়ে যাওয়া সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস ইত্যাদি নিয়ে যে চক্র চলছিল, বাংলাদেশে সেগুলি রিসাইকেল করা হত। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ার পরে তদন্ত কমিটির সদস্য আখতার আলি রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনই তিনি বদলি হয়ে যান। বদলে পরে কমিটি ভেঙে দিয়ে রিপোর্টটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরে এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ জমা পড়লেও, কেন এতদিন সন্দীপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল না, উঠছে প্রশ্ন।
এছাড়া, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও এক দুর্নীতি সামনে এল। আরজি কর হাসপাতালে সিসিটিভি লাগানোর জন্য ১৪ লক্ষ টাকা দাবি করলেও, সেই সিসিটিভি বসানোই হয়নি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এমন অভিযোগ করলেন মামলাকারীর আইনজীবী।
শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী করুণা নন্দী অভিযোগ করেন, ‘প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আরজি কর হাসপাতালে ১৪ লক্ষ টাকার সিসিটিভি বসাননি। যদি সিসিটিভি থাকত, তাহলে এই ঘটনার তদন্তপ্রক্রিয়া আরও সহজ হত।’ পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, 'আমরা পাঁচ চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে সামনে এনেছি। যাঁরা সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু তথ্য দেবেন। এই ঘটনার নেপথ্যে একটা প্রাতিষ্ঠানিক-যোগ আছে।'