আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এবার সিজিও কমপ্লেক্সে যান হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী ও প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ। হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের এক মহিলা অধ্যাপকও সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছেন। সিবিআই দফতরে যান টালা থানার অফিসার ইন চার্জ। তদন্তের কিছু নথি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন দুপুরে সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে যান সিবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাড়ির লোকের অভিযোগ শোনেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ধৃত সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দফায় দফায় জেরা পর্বও চলছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, সেই রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে আরও কেউ ছিল বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে এবার ধৃত সঞ্জয়ের মোবাইল কল রেকর্ড, তার আগের দিন তাঁর টাওয়ার লোকেশন কী ছিল, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য অ্যাপে কল করেছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেটা খরচের পরিমাণের দিকেও নজর সিবিআইয়ের।
বৃহস্পতিবার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চার পড়ুয়া চিকিৎসককেও সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকে সিবিআই। মৃত চিকিৎসকের সঙ্গে সেদিন রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
আরজি কর কাণ্ডে মঙ্গলবারই সিবিআই-কে তদন্তভার দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তরিত হয়। বুধবার সকালে ধৃত অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখেন তাঁরা। আরজি কর কাণ্ডে ২০ সদস্যের একটি সিবিআই টিম কাজ করছে। জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারও এই টিমে রয়েছেন। রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারও।