আরজি করে অন ডিউটিতে থাকা তরুণী চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে । ইতিমধ্যেই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ঘটনার প্রতিবাদ রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বিক্ষোভ করছেন চিকিৎসকরা । একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি । ঘটনার আঁচ পৌঁছেছে দিল্লিতেও । এরই মধ্যে আরজি করের মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে । তাঁর এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ।
কী মন্তব্য করেছেন সন্দীপ ঘোষ ?
বিভিন্ন সূত্র মারফৎ খবর, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘটনায় মন্তব্য করেন, 'মৃত ছাত্রীর রাতে একা সেমিনার হলে ঘুমানো বা থাকা উচিত হয়নি।' এরপর থেকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে । পোস্টারে সন্দীপ ঘোষের মন্তব্যের উল্লেখ করে লেখা, 'রাতে মানুষ কেন ঘুরবে, রাত তো জানোয়ারদের বিচরণ ক্ষেত্র । লজ্জা ।' অনেকে আবার অধ্যক্ষের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছেন ।
উল্লেখ্য, এর আগেও বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন সন্দীপ ঘোষ । তাঁর বিরুদ্ধে বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট, মধ্যরাতে বরাত বদল, বেআইনি নিয়োগ-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল । ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে আরজিকরের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নোটিস জারি করা হয় । কিন্তু, এক মাসেই বদলে যায় সেই নির্দেশিকা । আবার অধ্যক্ষ পদে ফিরে আসেন তিনি । এর আগেও একাধিকবার বদলির নির্দেশিকার জারি করা হয়েছিল তাঁর নাম ।
আরজি কর ঘটনায় শনিবার সকালে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ওই ব্যক্তি হাসপাতালের কেউ নন, বহিরাগত। এখানেই প্রশ্ন একজন বহিরাগত হাসপাতালের চারতলায় সেমিনার হলে ঢুকল কীভাবে? সেমিনার হলে সিসিটিভি ছিল না। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মাঝেমাঝে বিশ্রাম নিতেন হলে, মহিলারা পোশাকও বদলাতেন তাই সেই হল ছিল ক্যামেরামুক্ত। অন্যান্য ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই রক্ষীকে। হেডফোনের তারের একটি সূত্র ধরে রহস্য আরও দানা বাঁধছে ।