জিম করতে গিয়ে মৃত্যু হয় বাঁশদ্রোণীর তৃতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্রী ঋত্বিকা দাসের (Ritika Das)। ঋত্বিকার পরিবারের দাবি, জিম কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই তাঁদের মেয়ে প্রাণ হারিয়েছে। এই মর্মে ঋত্বিকার পরিবারের তরফে বাঁশদ্রোণী থানায় (Bansdroni) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, বেঁচে যেতে পারত তাঁদের মেয়ে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিমের মালিক ও ট্রেনার শুভঙ্কর সমাদ্দার।
ঋত্বিকার বাবা পেশায় টালিগঞ্জ-গড়িয়া রুটের অটোচালক। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে ঋত্বিকা। জিম করতে গিয়ে মেয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁশদ্রোণী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঋত্বিকার মেশোমশাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বলেন ঘণ্টাখানেক আগেই মৃত্যু হয়েছে ঋত্বিকার।"
আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দরে ভিনদেশি ঘাতক যুদ্ধবিমান, টুইট এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের
গত পাঁচ মাস ধরে জিম করতেন ঋত্বিকা। মঙ্গলবারও আর পাঁচটা দিনের মতো জিম করতে যান তিনি। জিমে গিয়ে বান্ধবী মেঘা হালদারকে ঋত্বিকা জানান, তাঁর বুকে ব্যথা করছে। ওয়ার্ম আপ শুরু হওয়ার পরই মুখ থুবড়ে পড়ে যান ঋত্বিকা। মেঘা জানান, "জিমে আসার পরই ঋত্বিকা বলছিল, অ্য়ারোবিকসের ক্লাস থাকলেই বুকে ব্যথা করে।" বান্ধবী মেঘা জানিয়েছেন, তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। তারপরও জ্ঞান ফেরানো যায়নি। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।