আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন । তাঁর একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যও দলকে অস্বস্তি ফেলেছে । এবার মধ্যরাতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উপর হামলার প্রতিবাদে আর জি করে মিছিল করলেন তৃণমূল নেতা চিকিৎসক শান্তনু সেন। ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন তিনি । দলের তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, তৃণমূল মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শান্তনু সেনকে । এরপরই আর জি করে মিছিল-মাইকিং করতে দেখা যায় তাঁকে ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আরজি করে মাইক হাতে দেখা যায় শান্তনু সেনকে । বুধবার রাতে হাসপাতালে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মাইকিং করে পড়ুয়া, নার্সদের নিরাপত্তার দাবি তোলেন তিনি । শান্তনু সেন বলেন,'যাঁরা এখানে আন্দোলন করছেন তাঁদের সলিডারিটি জানাতে এসেছি । একইসঙ্গে আমাদের দাবি, আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রী এবং জুনিয়র ডাক্তারদের উপর বুধবার মধ্যরাতে যে হামলা হয়েছে, হাসপাতালের সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাদের শাস্তি হোক। একইসঙ্গে বেঁধে দিয়েছেন ডেডলাইনও । শান্তনু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করতে হবে ।
গত কয়েক দিন ধরে আর জি কর কাণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে শান্তনু সেনকে । শান্তনু সেন যে মুখপাত্রের পদে থাকছেন না, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলেছিলেন, 'কয়েক জন বলছেন, তাঁরা মুখপাত্রের পদ ছেড়ে দিয়েছেন । জেনে রাখুন, আমরা তাঁদের আগেই সরিয়ে দিয়েছি।' নাম না করে শান্তনুর উদ্দেশেই যে কথাগুলো বলেছেন, এমনটাই ধারণা ছিল রাজনৈতিকমহলের একাংশের । বৃহস্পতিবার সকালে দলের তরফে পুরো বিষয়টা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার ।
তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,'তৃণমূল কংগ্রেসের যে মুখপাত্রদের তালিকা আছে, সেখান থেকে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন-কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে । ... গত কয়েক দিনে তাঁর যে মন্তব্য মিডিয়ায় এসেছে, তা একান্ত ভাবেই তাঁর ব্যক্তিগত। দল সেইসব বক্তব্যের দায়িত্ব নেবে না । '