আলোচনার কেন্দ্রে রাজ্যের নারী নির্যাতনের অভিযোগ। ভিন্ন সুর তৃণমূলের দুই সাংসদের গলায়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বরে এক কর্মসূচিতে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করেন, রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনাও লজ্জাজনক। দুপুরেই সৌগত রায়ের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে এসেছিলেন শতাব্দী। উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়েই তিনি জানান, সৌগত রায়ের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন তিনি। তাঁর সাফ দাবি, মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা? কোনও সরকার, কোনও মন্ত্রী কি চাইবে এটা ?
নারী নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। হাঁসখালি থেকে পিংলার ঘটনা নিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বিরোধীরা। তারমধ্যেই এদিন নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দক্ষিণেশ্বরে সৌগত রায় মন্তব্য করেন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেখানে নারী নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটলেও তা লজ্জার।' একইসঙ্গে অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অবস্থানও এই ইস্যুতে স্পষ্ট করেন তিনি। তিনি জানান, সকলেই চিন্তিত মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায়। এখানে একদম জিরো টলারেন্স করতে হবে।
আর এখানেই ভিন্ন সুর শতাব্দীর গলায়। বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে গিয়ে বীরভূমের সাংসদের দাবি, তিনি সৌগত রায়ের সঙ্গে একমত নন। শতাব্দী বলেন, 'এই জন্য যে, মহিলা-পুরুষের বিভেদের বিষয় এটা নয়। এমন যে কোনও ঘটনা দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কি চেয়েছেন এটা? কোনও সরকার, কোনও মন্ত্রী কি চাইবে এটা? যাঁদের মানবিকতা আছে তাঁরা কেউই এমন ঘটনা চাইবেন না। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী মহিলা বলে মহিলা ধর্ষিত হবেন না এটা ব্যাপার নয়। কোথাও কোনও সরকারের পুরুষ-নারী নির্বিশেষে যিনিই মুখ্যমন্ত্রী হন না কেন, কেউই চাইবেন না যে, এমন ঘটনা ঘটুক। এটা লজ্জার, দুঃখের এবং কষ্টের।'