সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা অতিরিক্ত বেতন ও ভাতা নিয়েছেন। তাই এবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন ফেরাতে নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর। একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অতিরিক্ত বেতন ফিরিয়ে দিতে হবে। এমনকি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অতিরিক্ত বেতন ফেরানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে রোপা (রিভিশন অফ পে এন্ড অ্যালায়েন্স) চালু হওয়ার আগে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা নিজেদের বেতন এবং তার সঙ্গে আরও একটি 'বর্ধিত ভাতা' পেতেন। এই ভাতার সঙ্গে তাঁদের দেওয়া হত আরও ৩ শতাংশ অতিরিক্ত একটি ভাতা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের প্রধানশিক্ষকরা যার ফলে 'বর্ধিত বেতনের' সঙ্গে মাসে আরও ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত পেতেন।
এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে রিভার্স অফ পে এন্ড অ্যালায়েন্স চালু হওয়ায় সরকারি কর্মচারীদের জন্য পে কমিশন চালু হয়ে যায়। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় অতিরিক্ত ভাতা। সম্প্রতি শিক্ষা দফতর জানতে পেরেছে সরকারের এই নতুন নিয়মকে উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকরা অতিরিক্ত বেতন ও ভাতা নিয়েছেন।
তাই ২ মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে ১৩ অক্টোবর আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে প্রধান শিক্ষকদের নেওয়া অতিরিক্ত বেতন দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় একেবারেই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন।
তবে, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল একেবারেই দফতরের এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেননি। তিনি জানিয়েছেন, এখন প্রধান শিক্ষকদের প্রায় ২৪ ঘন্টা কাজ করতে হয়। এত কাজ করে প্রধান শিক্ষকরা অতিরিক্ত কিছু না পেলে তাঁরা কাজে আগ্রহ পাবেন না। এই ব্যপারে নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করার কথাও বলেন তিনি।