মঙ্গলবার সন্ধেয় ঠিক কী ঘটেছিল নজরুল মঞ্চে কেকে-র কনসার্টে (Last concert of KK)? শিল্পীর আকস্মিক প্রয়াণের পরই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এডিটরজি বাংলার তরফে, যোগাযোগ করা হয়েছিল কনসার্টে উপস্থিত থাকা শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে থেকেই নজরুল মঞ্চের (Najrul Mancha) সিঁড়িতে বসে ছিলেন গ্যালারিতে জায়গা না পাওয়া দর্শকরা। আসন সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের ভিড় হয়েছিল। প্রথমে অডিটোরিয়ামের দরজা বন্ধই ছিল। শো-এর আগে দরজায় বিশাল জোরে ধাক্কা দেওয়াও হয়। একটি ছেলে খুব সম্ভবত আঘাতও পায়। এই ঘটনার পর সমস্ত দরজা খুলে দেওয়া হয়। পিলপিল করে লোক ঢুকতে শুরু করে, সেই সময় এসি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের মাঝে কেকে নিজেই বলেন 'বহুত গরমি লাগ রাহা হ্যায়, লাইট অফ কর দিজিয়ে', বারবার বলেন শিল্পী। মুখ মোছার তোয়ালে দিয়ে ঘনঘন মুখ-কপাল-মাথা মুছতে শুরু করেন কেকে। দর্শক শ্রোতা সকলেই অস্বাভাবিক ঘামতে শুরু করেন, ভেতরে দম বন্ধ করা পরিবেশ ছিল। একটা সময়ে চাইলেও শো ছেড়ে বেরনোর কোনও উপায় ছিল না।
মঞ্চে এখনও সাঁটা কেকে-র গানের তালিকা, শিল্পী কিন্তু মহাপ্রস্থানের পথে
শর্মিষ্ঠা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে পুলিশ উপস্থিত ছিলেন না, এমনটা নয়। কিন্তু ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের গাফিলতি ছিল। এত বড় একটা শো এর জন্য নজরুল মঞ্চের অডিটোরিয়াম যথাযথ ছিল না বলেই মত শর্মিষ্ঠার।
তবে গান গাওয়ার সময় কেকে (KK)-র শারীরিক অস্বস্তি টের পাননি কেউই। দাপিয়ে গেয়েছেন, নেচেওছেন। সেই মানুষটাই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা যাবেন, তার সামান্যতম আঁচও পাওয়া যায়নি। গাড়িতে ওঠার আগে ভক্তদের হাত নেড়েছেন।
শো শেষে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। হাসপাতালের পথেই মৃত্যু হয় শিল্পীর।