বারবার সিম বদলে এবং জায়গা বদলেও পুলিশের পাতা ফাঁদ এড়াতে পারল না বেহালার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বেহালার চড়কতলায় তাঁর বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা। কারণ, ঘটনার পরেই সোমনাথকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অবশেষে ঘটনার পাঁচদিন পর হাওড়ার জয়পুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে আরও ছয় জন। যারা সোমনাথকে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ। ধৃতদের থেকে মোবাইল ফোন ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কিন্তু কী ভাবে ধরা পড়লেন সোমনাথ ?
পুলিশ জানিয়েছে, চড়কতলায় ঘটনার পর থেকে ফেরার সোমানাথ-সহ সাতজন। প্রথমে ওডিশার বালাসোরে গিয়ে গা ঢাকা দেন। সেখানে একদিন কাটানোর পর চলে আসেন খগড়পুরে। সেখান থেকে আবার দিঘা। দিঘায় একদিন কাটানোর পরেই এসেছিলেন হাওড়ার জয়পুরে। আর সেখানেই তাঁকে ও তাঁর সাগরেদদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী হয়েছিল চড়কতলায় ?
গত পাঁচদিনে একধিকবার মোবাইলের সিম ও গাড়ি বদলেছেন সোমনাথ। পুলিশ জানিয়েছে, এই পাঁচদিন অধিকাংশ সময় গাড়িতেই কাটিয়েছেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত, গত মঙ্গলবার চড়কের মেলাকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকা। মঙ্গলবার রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের মধ্যে। ইট ছোড়াছুড়ি এবং ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। অভিযোগ উঠেছে গুলি চলারও। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছ’জনকে আটকও করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সোমনাথকে দল থেকে বহিষ্কারও করে তৃণমূল।