গত শুক্রবার সকালে আরজি করের সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সাতদিন কেটে গিয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যে একাধিক পটপরিবর্তন। বুধবার গভীর রাতে আরজি করে দুষ্কৃতী হামলার নিন্দায় সরব মহল। পড়ুয়াদের আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে হাসপাতালের ওয়ার্ডও। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার কার্যত অবরুদ্ধ হতে চলেছে কলকাতা। একাধিক রাজনৈতিক দল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে বনধ নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। সরকারি কর্মচারীদের কর্মস্থলে যেতেই হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বধের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই। আরজি কর হাসপাতালের নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিকে আলাদা কর্মসূচি থাকছে সিপিএমেরও। শুক্রবার রাজ্যব্যাপী ধিক্কার দিবস পালন করছে সিপিএম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়েছে।
এদিকে দুপুর ২টো থেকে ২ ঘণ্টা সরকারি কর্মী ও ব্যবসায়ীদের কাজ বন্ধ রাখার দাবি করেছে রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার রাজ্যের প্রতি জেলায় পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মিছিলের ডাকও দিয়েছে বিজেপি।
শুক্রবার পথে নামছে তৃণমূলও। দোষীদের শাস্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই সিবিআইকে সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারের মধ্যেই অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন তিনি। এই দাবি নিয়ে শুক্রবার পথে নামবে শাসক দল তৃণমূল। থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৌলালী থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত এই মিছিল হবে। থাকবেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।
নবান্ন ইতিমধ্যেই এই বনধ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। শুক্রবার সব সরকারি কর্মীদের কাজে যোগ দিতেই হবে। পরিবহন দফতরকেও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।