'শিক্ষিকা' সুকন্য়া, অন্ধকারে রাজ্য। কড়া সমালোচনা বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দিতে চলেছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্য়া মণ্ডল। এদিন বেলা তিনটের মধ্য়ে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বুধবারই এই ঘটনায় সুকন্যা-সহ বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সুকন্য়ার চাকরির বিষয় তিনি কিছুই জানেন না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। রাজ্য়ের এই প্রতিক্রিয়ার পরেই সমালোচনা তীব্র করেছে বাম ও বিজেপি। মেদিনীপুরে এক অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, শিক্ষিত যুবকদের বাইরে রেখে এই ভাবেই রাজ্য়ের শিক্ষায় দিনের পর দিন ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতাদের থেকে এটাই কাম্য। এর পিছনে সরকারের ভূমিকা ঠিক কতটা, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল,দক্ষিণ কলকাতায় অভিষেকের ছবি দেওয়া পোস্টার ঘিরে জল্পনা
মূলত স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে তাঁর অভিযোগ, টেট না দেওয়া সত্ত্বেও বোলপুর পশ্চিম সার্কেলের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডল। যিনি স্কুলে যান না, কিন্তু বেতন পান। এমনকী, স্কুলের সরকারি খাতা বাড়িতে আসে সুকন্যার সই পাওয়ার জন্য। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই ঘটনা চলছে বলেও অভিযোগ শামিমের। শুধু সুকন্যা নন, এই তালিকায় রয়েছেন অনুব্রত আত্মীয় সুমিত মণ্ডল, তৃণমূলের দাপুটে নেতার সহকারি অর্ক দত্ত। এছাড়াও অতিরিক্ত হলফনামায় নাম রয়েছে সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরি চৌধুরী এবং সুজিত বাগদির।
এই অভিযোগের পরেই আদালত সুকন্যা-সহ বাকিদের বৃহস্পতিবার হাজির হতে নির্দেশ দেয়। হাজিরা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় বোলপুরের পুলিশ কমিশনার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকে। আদালতের নির্দেশ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটের মধ্য়ে এই ঘটনায় সবাইকে হাজিরা দিতে হবে। না হলে সবার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।