কসবার ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর দাবি কলকাতা পুলিশের। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুন করতে এই সুপারি দেওয়া হয়েছিল বিহারের পাপ্পু চৌধুরীর গ্যাংকে। আঁটঘাট বেঁধেই কলকাতায় এসেছিল চার দুষ্কৃতী। এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাহায্যে রেইকি করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের দাবি, কাউন্সিলরকে হাতে কাছে পেয়ে তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই যাবতীয় ছক ভেস্তে যায়।
কসবার ঘটনার তদন্তে একাধিক তথ্য ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তার মধ্যে উঠে এসেছে একটি জমিকে কেন্দ্র করে বিবাদের ইঙ্গিত। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, কসবার গুলশন এলাকার একটি দু হাজার বর্গ ফুটের জমিকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনায় ধৃত গুলজারের সঙ্গে বিবাদ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। এরমধ্যে উঠে এসেছে এলাকার আর এক প্রোমোটার জুলকারনাইন আলির নাম। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন ওই প্রোমোটার।
তবে, এই জমির সঙ্গে তাঁর বা তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। কসবার ঘটনার পিছনে উঠে আসছে জবরদখল করার রাজনীতির অভিযোগ। সুশান্ত ঘনিষ্ঠ হায়দার আলির নামও এই ঘটনার সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে। তবে, সুশান্ত জানিয়েছেন, হায়দার যদি কোনও দোষ করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই শাস্তি পাবেন। এই অবস্থায় কসবার ঘটনায় সুশান্তর পাশেই দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কী পাওয়া যাচ্ছে কসবার ঘটনার তদন্তে ? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমবার সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার পরেই বিহারের পাপ্পু গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ধৃত গুলজার। তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুন করতে কলকাতা পাঠান হয়েছিল যুবরাজ সিংয়ের নামের এক যুবককে। এটাই তার প্রথম কাজ ছিল বলে জানা গিয়েছে। দফায় দফায় জেরায় যুবরাজ স্বীকার করেছে, সুশান্তর উপর হামলায় ১০ নয় সুপারি দেওয়া হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা। ওই ধৃতের থেকে জানা গিয়েছে, বিহারে পাপ্পুর বিরুদ্ধে ৪০টি মামলা রয়েছে।