ডিএলএড কোর্সে শিক্ষার্থী পিছু ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত। সেই টাকা যেত পর্ষদের অফিসে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন টেট দুর্নীতির 'মিডলম্যান' তাপস মন্ডল। বুধবারই তাঁকে সাড়ে ১০ ঘন্টা জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার আগে 'বিস্ফোরক' তাপস মন্ডল।
এবার ডিএলএড-এর অফলাইন ভর্তিপ্রক্রিয়ার তদন্ত ইডির হাতে। অভিযোগ, ডিএলএড পরিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে লাগত ৩০০ টাকা। কিন্তু অফলাইনে যাঁরা ভর্তি হন, তাঁদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৪ হাজার ৭০০ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে, যা ভর্তি মূল্যের প্রায় ১৬ গুণ বেশি বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন- Jalpaiguri News: চুরি করে বাড়ির মালিককে চিঠি, জলপাইগুড়িতে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক
সূত্রের খবর, অফলাইনে ভর্তির জন্য ছাত্রপিছু ৫ হাজার টাকা করে নিতেন মানিক। কীভাবে দুর্নীতির জাল বুনেছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক? সে সম্পর্কে ইডির কাছে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দাদের দাবি, অনলাইনে ভর্তির নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। তার মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে ভর্তির বন্দোবস্ত করতেন মানিক। সরকারি পদে থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পড়ুয়াদের অফলাইনে ভর্তি করা্নো হত। ঘুরপথে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যাটা কলেজ পিছু প্রায় ২০-২২ জন বলেই খবর।