স্লগ ওভারে বাংলাকে একবার কাঁপিয়ে দিয়ে যেতে পারে শীত (Winter)। কারণ, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে বড় মাপের পারদ পতনের সম্ভাবনা আছে। তিন দিনে উত্তর এবং দক্ষিণ— রাজ্যের দুই অর্ধের বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে বলে পূর্বাভাসে (Weather Forecast) জানানো হয়েছে। এরই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সকালে কুয়াশারও সম্ভাবনা আছে কোনও কোনও জেলায়। ফলে যাওয়ার আগে মাঘের শীত বাঘের গায়ে, ফলে পারে এই প্রবাদও।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Highest Temperature) হতে পারে ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি বেশি। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি বেশি। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি, ১৭.২ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: নতুন ট্র্যাফিক আইনে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না নিয়ে গাড়ি চালালে জরিমানা ৫০০০
এই দফাতেই এ বছরের মতো শীত শেষ হবে কি না, সেই বিষয়েও বিস্তর জল্পনা চলছে নানা মহলে। তাই শেষ কামড়ে শীত কী খেল্ দেখাবে, তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। হাওয়া অফিস পারদ পতনের যে-হার আঁচ করছে বা আভাস দিচ্ছে, তাতে জানুয়ারির শেষে রাজ্যের নানা প্রান্তে হাড়কাঁপানো শীত মালুম হতে পারে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও থাকতে পারে শীত। তার পর কিন্তু ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। আসবে বসন্ত।
আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, ঝঞ্ঝার প্রভাবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রা অনেক বেড়েছে। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৭ ডিগ্রি। কয়েক দিন আগেও হাড়কাঁপানো শীতের দাপট চলছিল পুরুলিয়ায়। এখন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। পানাগড় জোরদার শীতের জন্য বিখ্যাত। সেখানেও রাতের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। তুলনামূলক ভাবে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহারে শীতের দাপট বেশি। কোচবিহার, শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়িতে এ দিন রাতের তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৮.৬, ১০.৬ এবং ১১.১ ডিগ্রি। বালুরঘাটেও শীতের দাপট মালুম হয়েছে।