২৬৯ জন নয়, বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল ২৭৩ জনকে। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) শুনানিতে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনই জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Board)। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল আছে, এই দাবি করে মোট ২৭৮৭টি আবেদন জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকে ২৭৩ জনের নম্বর বাড়িয়েছিল পর্ষদ।
২০১৪ সালে TET হয়েছিল। ১৮ লক্ষ প্রার্থী পাশ করতে পারেননি। পর্ষদের দাবি, এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর নম্বর বের করা সম্ভব হয়নি। যাঁরা নম্বর বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন, তাঁদের বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়। যদিও মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, "এটা দুর্ভাগ্যজনক। পর্ষদ নিয়োগ করছে, অথচ তাঁদের কাছে পরীক্ষার্থীদের তথ্য নেই। এটা থেকেই পরিষ্কার, তাঁরা পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য ওই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। আর তাতেই দুর্নীতির জাল তৈরি হয়। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই নিয়োগে।"
আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতি মামলায় সম্পত্তির নথির খোঁজে শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে একটি মামলায় ২৬৯ জনকে পদ থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে গত সোমবার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও পর্ষদ সচিব।