"মরে যাব, তবুও আর আন্দোলন ছাড়ব না।" মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনে বসলেন চাকরিপ্রার্থীরা। টানা রোদে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা আট বছর ধরে বেকার। চাকরির দাবিতে রাস্তায় রাস্তায় দিন কাটছে তাঁদের। চাকরির বয়েস পেরিয়ে গিয়েছে অনেকেরই।
সোমবার সারা রাত এপিসি ভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকেন তাঁরা। পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করে ওই রাস্তা খালি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়োগ সংক্রান্ত নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত উঠবেন না। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই পথেই হাঁটলেন রাজ্যের হবু শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন- TET candidates protest: সল্টলেকে রাতভর পথ অবরোধ চাকরিপ্রার্থীদের
সাম্প্রতিক কালে সল্টলেকে বার বার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করতে দেয়নি পুলিশ। সোমবারও শুরুতে ছবিটা তেমন ছিল। ২০১৪ সালের ‘নট ইনক্লুডেড’ টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনের শুরুতে ধরপাকড় করছিল পুলিশ৷ কিন্তু বেলা বাড়তেই শ'য়ে শ'য়ে চাকরিপ্রার্থী এলাকার দখল নিয়ে নেন। তখন রীতিমতো 'সংযত' আচরণ করে পুলিশ।
বিকেল ৫টার পর আন্দোলনের পারদ চড়তে থাকে। করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে এপিসি ভবনের সামনে চলে আসেন আন্দোলনকারীরা। স্লোগান, গান, কবিতার পাশাপাশি চলে মোবাইলের ফ্লাশ জ্বালিয়ে প্রতিবাদ।