নবান্নে ভেস্তে গেল রাজ্যের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। প্রশাসনিক জটিলতার কারণেই এই বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে বলে পাল্টা রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেললেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তিনি বিচার চান, মুখ্যমন্ত্রীর পদ চান না। বাংলার স্বার্থে তিনি পদত্যাগ করতেও রাজি। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে এই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আরজি করের আন্দোলন নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের যেমন ক্ষমা করেছেন, তেমনই নাম না করে কটাক্ষ করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের দাবি, যা তাঁদের হতাশ করেছে। কারণ, তাঁরাও চান ওই পদে কাজ চালিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী এই চেয়ারের ভরসাতেই এদিন নবান্নে ছুটে এসেছিলেন তাঁরা।
এদিন ৩২ জন প্রতিনিধি নিয়ে সরকারের বৈঠকে সাড়া দিয়ে নবান্নে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে, তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে। নবান্নের সভাঘরে বৈঠক শুরুর আগে যা ধাক্কা খায়। কেন বৈঠকের লাইভ হবে না, তার ব্যাখ্যা দেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। এমনকী, বিচারাধীন কোনও মামলা নিয়ে বৈঠক করলে তার লাইভ করা যায় না বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই যুক্তি মানতে নারাজ নবান্নের বাইরে থাকা জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই বৈঠক নিয়ে রাজ্যে পুরো প্রক্রিয়াতেই তাঁরা হতাশ। তাই যতক্ষণ না নির্যাতিতার বিচার হচ্ছে, ততদিন এই কর্মবিরতি চলবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আরজি করের ঘটনায় প্রথম রাউন্ডে রাজ্যকে স্নায়ুযুদ্ধে কার্যত কোণঠাসা করে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চোখ থাকবে পরের রাউন্ডের দিকে। কারণ, আলোচনার রাস্তা এখনও খোলা রেখেছে সরকার। তাতে অবশ্য তিনি থাকবেন কীনা, তা নবান্ন থেকে স্পষ্ট করলেন না মুখ্যমন্ত্রী।