মঙ্গলবার অভিযানের আগে, সোমবার সন্ধেতে প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের উদ্যোক্তারা। সেখানেই ছিলেন নদিয়ার এক ‘স্বঘোষিত’ ছাত্র নেতা শুভঙ্কর হালদার। এই অভিযানের তিন উদ্যোক্তা তাঁদের কর্মসূচিকে 'অরাজনৈতিক' বলে দাবি করলেও শাসকদল তৃণমূল প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, এর নেপথ্যে বিজেপি রয়েছে। রবিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ধর্ষণকাণ্ডের বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযানের উদ্যোক্তাই ধর্ষণে অভিযুক্ত।
এই প্রশ্ন সোমের সন্ধেতে শুভঙ্করকে এই প্রশ্ন করা হলেই তিনি মেজাজ হারান। আঙুল তুলে ‘চোপ’ বলে এক সাংবাদিককে হুঙ্কারও দিয়েও ওঠেন শুভঙ্কর। এরপরেই একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করা হয় তাঁকে। তিনি জানান নবদ্বীপ থানায় তাঁর নামে ৩০ থেকে ৪০ টি মামলা থাকলেও, ধর্ষণের কোনও মামলা তাঁর নামে নেই। শাসক দলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্য নাকি তাঁকে একাধিক মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোও হয়েছে।
এরপর ‘অরাজনৈতিক’ পরিচয় অচিরেই ছেড়ে শুভঙ্কর স্বীকার করে নেন তিনি RSS এর সদস্য, এবং এর জন্য তিনি গর্বিতও বটে। এরপরেই কথা ঘোরাতে, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করে তিনি বলেন নবান্নতে তাঁদের সম্মুখীন হতে। শুভঙ্করের সঙ্গী সায়ন লাহিড়িও মেনে নেন যে, এক সময়ে তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং পরে ABVP-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপর তাঁর হয়ে ক্ষমাও চেয়ে নিতে দেখা যায় তাঁর সঙ্গীদের।
উল্লেখ্য, তৃণাঙ্কুরের পোস্টে দাবি করা হয়, এক সময় শুভঙ্কর TMCP করলেও ধর্ষণ ও অপহরণের মামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কলেজে ভাঙচুর, আইসির গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ আছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ABVP-তে যোগ দেন।