একটা দুর্ঘটনা। তার জেরে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমক। এইসবের মধ্যেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আমূল বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার পুলিশি ব্যবস্থা।
অভিযোগ, যে পুলিশ কিয়স্ক এতদিন অচল ছিল, তা শনিবার থেকে পুরোমাত্রায় সচল হয়ে গেল। ঢেলে সাজানো হল বড়িশা হাই স্কুলের সামনের নিরাপত্তা। কার্যত নিরাপত্তার দূর্গে পরিণত করল কলকাতা পুলিশ। যদিও সৌরনীলের মৃত্যুর জেরে এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে বড়িশা স্কুল।
বেহালার এই ঘটনার পর কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এই ঘটনার পর পদে থাকার কোনও অধিকার নেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের।
আরও পড়ুন : বেহালার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর, পাল্টা বিঁধলেন কুণাল
প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা বিধেঁছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আসানসোল এবং শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কার প্রসঙ্গ এদিন টেনে এনেছেন তিনি।
বেহালার ঘটনায় নিহত পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের বাড়িতে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মূলত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই হরিদেবপুরের বাসিন্দা সৌরনীলের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। সৌরনীলের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি গোটা পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা।