ফের আদালতের নির্দেশে রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার তদন্ত করবেন দময়ন্তী সেন। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাকদ্বীপের সিপিএম কর্মী দেবপ্রসাদ দাস ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করবে সিট। আর এই বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেবেন আইপিএস দময়ন্তী সেন। মূলত, দেবপ্রসাদ দাসের ছেলে দীপঙ্কর দাসের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। পাঁচ বছর আগের এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি ছিল, শটসার্কিটের জেরেই মৃত্যু হয়েছিল দেবপ্রসাদ ও উষারানি দাসের। যদিও তাঁদের ছেলের অভিযোগ, বাবা-মাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
২০১৮ সালে ১৪ মে সকালে, কাকদ্বীপে তাঁদের বাড়ি থেকেই দেবপ্রসাদ দাস এবং তাঁর স্ত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেইসময় এই ঘটনার তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল রাজ্য। তৎকালীন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা অনুজ শর্মা রিপোর্ট ছিল, শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে ওই দম্পতির। যদিও স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, ওই রাতে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল এলাকা। তা ছাড়া শর্ট সার্কিট হলে বিদ্যুতের তার, সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিন সামগ্রী যে ভাবে পুড়ে যাওয়ার কথা, সে রকম নমুনা মেলেনি। পরেও অবশ্য খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এবং ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়।
এদিকে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে নিয়ে আইনজীবীদের একাংশে এখনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছেই। এরমধ্যেই পুরনো একটি খুনের মামলা ভার তিনি দিলেন দময়ন্তী সেনকে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, অতীতে খবরে থাকা দময়ন্তী কাকদ্বীপের তদন্তে দায়িত্ব সোঁপে বর্তমান সময়ে ফের শিরোনামেই রইলেন বিচারপতি মান্থা।