কাঁচা লঙ্কার ঝাঁজ যে এত হতে পারে, তা ধারনাই ছিল না মধ্যবিত্ত বাঙালির। তাতে আদা আর টম্যাটো যে এই ভাবে খেলা দেখাবে, সেটাও ছিল স্বপ্নাতীত। রবিবার কলকাতার বাজারে ছ্যাঁকা খাওয়ার পর বঙ্গবাসীকে স্বস্তি দিতে সোমবার থেকে ময়দানে নামছে টাস্ক ফোর্স। রাজ্যের প্রতিটি বাজারে বেলাগাম দাম রুখতে নজরদারি শুরু হচ্ছে। রবিবার শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে কাঁচা লঙ্কা ছিল কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা। আদাও ওই ৩৫০ টাকাতেই কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ করে এই দাম বৃদ্ধি কেন ? তাতে বিশেষজ্ঞদের মত, বৃষ্টির খামখেয়ালি পনার কারণেই সব্জি দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। শুধু লঙ্কা, আদাদের দোষ লাভ নেই। পটল, ডাঁটারাও যে স্ট্রাইক রেটে ব্যাট ঘোরাচ্ছে তাতে উদ্বেগ আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বাজারে নিজের দর বাড়িয়ে রেখেছে ঝিঙে। কারণ, পরিস্থিতি যা তাতে রাঙা আলুরাও ঝোপ বুঝে কোপ মারার জন্য তৈরি হয়ে রয়েছে।
তাহলে উপায় ? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার থেকে রাস্তায় নামছে সুফল বাংলার ভ্রাম্যমাণ স্টল। তাতে সরকারি দাবি প্রতিটি সব্জি এই স্টল থেকে কিনলে কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা কম দামে পাওয়া যাবে। কিন্তু মধ্যবিত্তের আশঙ্কা পাওয়া যাবে কোথায় ? পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই বাঙালির উপলব্ধি এই যা বাড়াল, তাতে দাম কমবে বলে আর মনে হয় না।