শাসকের ধরনা। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের পরে এই ছবিও উপহার দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ১৪৪ ধারা ভেঙে ওই এলাকায় ঢুকতে গেলে অভিযোগ পুলিশ ক্যানিংয়ের বিধায়ক শওকত মোল্লা-সহ বাকি তৃণমূল নেতাদের পথ আটকায়। তার প্রতিবাদে ধরনা শুরু করেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। শনিবারই স্থানীয় ভোগালি এলাকার বাসিন্দা শেখ মোসলেম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। তৃণমূলের বুথ সভাপতি বলে পরিচিত ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলন শওকত, আরাবুলরা। তখনই ভাঙড় ব্রিজের কাছে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।
গত সাত জুলাই, পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত হন বছর পঁয়ষট্টির মোসলেম। তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই তাঁর বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল শওকত এবং আরাবুলের। তার আগেই তাঁদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
গণনার পর থেকেই ভাঙড়ে জারি আছে ১৪৪ ধারা। এই কারণেই শুক্রবার ওই এলাকায় ঢুকতে পারেননি স্থানীয় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর অভিযোগ, শনিবার রাতে ওই এলাকায় ঢুকে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক করার কথা ছিল তৃণমূল নেতাদের। নওশাদের অভিযোগের পাল্টা শওকত জানিয়েছেন, তাঁরা প্রকাশ্যে কোনও সভা করেননি। স্থানীয় একটি বাড়িতে সবাই কথা বলেছেন। ফলে আইন ভাঙার কোনও প্রশ্ন নেই বলেও দাবি ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের।