ট্যাবের টাকার প্রতারণার জালে রাজ্য। সাইবার অপরাধীদের দাপটে ধাক্কা খেয়েছে 'তরুণের স্বপ্ন'। রোজই বাড়ছে প্রতারিতের সংখ্যা। রাজ্যের একটি পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েকদিনে ট্যাবের টাকা যায়নি প্রায় ৫০০ পড়ুয়ার কাছে। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের জালে রকি নামের এক ব্যক্তি। তাকেই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করা হচ্ছে। তারপরেও এই জট কোথায়, তা এখনও খুঁজে বার করতে পারেনি প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে ট্যাব প্রতারণার জাল গোটাতে ১০ সদস্যের সিট গঠন করল রাজ্য। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার এপিসেন্টার মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর। মূলত পুজোর পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢোকেনি। শুরুটা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জেলার সংখ্যা।
জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও অভিযোগ উঠতে থাকে। এখনও পর্যন্ত নটি থানা এলাকায় এই ব্যাপারে অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর থানাও। অভিযোগ, যাদবপুরের এক স্কুলের ১২ জন এবং ঠাকুরপুকুরের এক স্কুলের ৩১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি।
এই ঘটনায় এমন দু জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের পেশা দেখে চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় জড়িত চা বাগানের শ্রমিক এবং একজন কৃষক। এই পরিস্থিতিতে ১০ জনের বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করল লালবাজার। কলকাতা পুলিশের দাবি, কী ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা টাকা বিহারের কিষাণগঞ্জে চলে গেল, সেই দিকটাও খতিয়ে দেখা হবে।