তাঁর প্রিয় শহর কলকাতা, তাঁকে চোখের জলে বিদায় জানিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তিলোত্তমাকে তাড়া করে গেল নজরুল মঞ্চের (Nazrul Mancha) অনুষ্ঠানের পর গায়ক কেকে-এর (KK) মৃত্য়ু ঘিরে তৈরি হওয়া নানা বিতর্ক। দিনভরই নানা সময়, নানা মহল থেকে এই ঘটনায় উদ্যোক্তাদের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধাননগরের স্য়ার গুরুদাস কলেজের তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র (TMCP) নেতা পঙ্কজ ঘোষ।
মঙ্গলবার রাত থেকে অভিযোগ ওঠে, নজরুল মঞ্চের মধ্যে কলেজ ফেস্টের অনুষ্ঠান করতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। কিন্তু এডিটরজি বাংলার (editorji bangla) কাছে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঙ্কজ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার পাল্টা দাবি, প্রায় দু ঘণ্টা অনুষ্ঠান করে সুস্থ অবস্থাতেই নজরুল মঞ্চ থেকে বেরিয়ে হোটেলে ফিরেছিলেন কেকে। এমনকী, অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁর মধ্যে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
কলকাতার একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেই কলেজ ফেস্টের জন্য কেকে-কে এনেছিল উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজে। ব্ল্যাক আইড নামের ওই সংস্থাই গোটা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিল বলেও দাবি কলেজের ছাত্র নেতার। তাঁর মতে, হোটেল থেকে নজরুল মঞ্চ বলিউডের গায়ককে আনার দায়িত্ব ছিল ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার উপরেই। এই ব্য়াপারে তাঁদের কোনও ভূমিকা ছিল না বলেও দাবি পঙ্কজের।
তাহলে কেন হঠাৎ করে বাইরের লোকেদের ভিতরে ঢোকানোর জন্য দরজা হাট করা হয়েছিল ? কারণ, কেকে-র অনুরাগীদের চাপেই নজরুল মঞ্চের ভিতরের দরজা খোলা হয়েছিল। দাবি করেছেন পঙ্কজ। তিনি জানিয়েছেন, দু ঘণ্টার অনুষ্ঠানে মঞ্চের ভিতরে কোনও বিশৃঙ্খলা। দর্শকাসন থেকে কেউ মঞ্চে উঠে আসেননি। বরং তাঁর অনুরাগীদের নিজের কাছে টেনে নিয়েই মঞ্চের উপর থেকে অনুষ্ঠান শেষ করেছিলেন প্রয়াত গায়ক কেকে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠছে। তা-ও অস্বীকার করেছেন উল্টোডাঙার কলেজের ছাত্র নেতা। দাবি করেছেন, এমন সময় রাজনীতি করা অর্থহীন। কারণ, মঙ্গলবার রাতেও তাঁরাও এই ঘটনা শুনে হতবাক হয়েছেন।