এতদিন চুপচাপ থাকার পর অবশেষে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের তিন বিরোধী নেতার নাম এই ঘটনায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানির আগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষ তিন জনেই তাঁর কাছে চাকরির তদ্বির করেছিলেন। কিন্তু তিনি সেই বেআইনি কাজ করতে রাজি হননি বলেই দাবি পার্থর। এবং তাঁর কাছে লোক পাঠিয়ে তদ্বির বাম আমল থেকেই শুরু হয়েছিল বলেও এদিন দাবি করেছেন পার্থ। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের জন্য ২০০৯-১০ সালে সুজন চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষ তাঁর কাছে লোক পাঠিয়েছিলেন। এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১১-১২ সালে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই দাবি ঠিক কয়েক মিনিট পরেই টুইট করে তৃণমূল মুখপাত্র আর এক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেন।
যদি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর এই অভিযোগ একযোগে উড়িয়ে দিয়েছে বাম ও বিজেপি। মেদিনীপুরের সাংসদ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাগলের প্রলাপ বকছেন। এই অভিযোগ যদি প্রমাণ হয়, তাহলে তিনি জেল খাটবেন বলেও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, যে সময় তাঁর বিরুদ্ধে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন, সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোথায় ছিলেন ? সুজনের দাবি, সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল সরকারেই নেই। তিনি কার্যত পার্থর এই অভিযোগকে উড়িয়েই দিয়েছেন।
তবে এই ঘটনায় তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে নিজের দূরত্ব বজায় রেখেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, ওই সময় শুভেন্দু কী করছেন, তা তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ, সেইসময় তাঁরা ভিন্ন দলের কর্মী ছিলেন। তবে বাম আমলেও যে টাকার খেলা হয়েছে, তা মানছেন দিলীপ ঘোষও।