আরজি করের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই আন্দোলনে তারা থাকবে কীনা, তা নিয়ে বেশ টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল বিজেপি। ছাত্রদের আন্দোলনে তিনি থাকবেন বলে প্রথম থেকে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ফারাক ছিল পদ্মশিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু মঙ্গলে মিশন নবান্নে অনেক টানাপোড়েনের পর অবশেষে নিজেদের জড়িয়েই ফেলল বিজেপি। বনধ ডাকার পাশাপাশি এবার প্রতিক্রিয়া এল দিল্লি থেকেও।
এদিনের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সামযিক উত্তেজনা তৈরি হয় কলকাতা ও হাওড়ায়। সেই ছবি দেখেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার অভিযোগ, মমতার বাংলায় ধর্ষকরা গুরুত্ব পায়। আর প্রতিবাদ করলেই অপরাধ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নাড্ডা রাজ্যের পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আরজি করের ঘটনায় এতদিন পর্যন্ত স্রেফ ধরনায় নিজেদের আটকে রেখেছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।
ঘটনার প্রায় ১২দিন পর অতি সম্প্রতি নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। যিনিও এদিন নবান্ন অভিযানের ছবি দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজ্যের আন্দোলন নিয়ে বারবার একটা অভিযোগ ওঠে, তা-হল শুভেন্দু-সুকান্তরা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারেন না। এদিনের নবান্ন কী ফের তাঁদের অক্সিজেন দিল ? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই উত্তর হয়তো সময় বলবে।