রাজ্যে আরজি কর আন্দোলনে নাটকীয় মোড়। এই প্রথম আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তোপের মুখে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, অবস্থান মঞ্চ থেকে যাঁরা গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁরা আদতে বহিরাগত। শুভেন্দুর এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার পাল্টা তাঁরা জানিয়েছেন, এই আন্দোলনে কোনও বহিরাগত নেই। বরং তাঁদের আন্দোলনের উপর কালি লাগাতে চাইছেন শুভেন্দু। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁদের মাথার উপরে কোনও রাজনৈতিক হাত নেই। এবং থাকবেও না।
একমাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত আরজি কর নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। গত কয়েকদিনে তাঁদের আন্দোলনে বামপন্থী অনেক সেলেবকেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনও বিজেপি নেতাকে এই আন্দোলনে ঘেঁষতেই দেননি। লালবাজার অভিযানের সময় জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসময় তাঁকেও গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অভিযোগ, অগ্নিমিত্রাকে দেখেই গো ব্যাক স্লোগান দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে পাল্টা আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা অভিযোগে শুভেন্দু জানান, কিছু বহিরাগত এই সব স্লোগান তুলছেন।
পাল্টা জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের আন্দোলনকেই কালিমালিপ্ত করতে নেমেছেন। গো ব্যাক স্লোগান নাকি দুশ্চরিত্র বহিরাগতের ষড়যন্ত্রের ফলে ঘটেছে। সুস্পষ্ট ভাবে তাঁকে এবং অন্য যাঁরা তাঁদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ব্যবহার করতে চায়, তাঁদের বলতে চান, এই নিয়ে আগেও যা প্রতিক্রিয়া ছিল, এখনও একই থাকবে।
তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চান। তাঁদের পাঁচ দফা সরকার মেনে নিলে আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসবেন বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। নবান্নে ৪৫ মিনিট দেরিতে যাওয়ার জন্য এদিন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।