দুর্গাপুজো মানেই সাবেকিয়ানা থেকে থিমের ছড়াছড়ি। আর থিম মানেই এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়। কিন্তু সন্তোষপুর লেক পল্লীর এবারের ভাবনা কলকাতার অন্যান্য পুজোগুলোকে ভাবাতে বাধ্য করবেই। একটা গোটা মণ্ডপই হয়ে উঠেছে দুরদর্শনের কার্যালয়। গোটা মন্ডপ সেজে উঠছে অ্যান্টেনা, পুরনো টিভি, টেলিভিশনের নানা যন্ত্রপাতিতে। এর মধ্যে দিয়ে ৮০-৯০ দশকের নস্টালজিয়াকে ধরতে চেয়েছেন উদ্যোক্তারা।
শিল্পী অভিজিৎ ঘটকের কথায়, আধুনিক মানুষের জীবনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। কীভাবে সেই গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ ঘটল, কীভাবে তা সাধারণের জীবনযাপনে আত্মস্থ হল- সবটাই তুলে ধরা হয়েছে সন্তোষপুরের এই মন্ডপে। এই মন্ডপসজ্জার মধ্যে দিয়েই গণমাধ্যমের সূচনালগ্নে ফিরে যেতে চাইছেন উদ্যোক্তারা।
জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০ জন কারিগর দিনরাত এক করে মন্ডপসজ্জার কাজে ব্যস্ত। এই নস্টালজিক ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। তবে আয়োজকদের আশা, তাঁদের এবারের এই ভাবনা দর্শকদের ভাবাতে বাধ্য করবেই।