কলকাতার রসগোল্লা। এটা যেমন গানের কলি, তেমন ইতিহাসও। বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাসের দোকান থেকে যে ইতিহাসের শুরু। এবার সেই ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে শহর কলকাতাতেই গড়ে তোলা হচ্ছে রসগোল্লা হাব। রাজ্য সরকারের সহায়তায় শহরের কোনও এক অব্যবহৃত ট্রাম ডিপোতে তৈরি হবে এই হাব।
মিষ্টি খাওয়া এবং মিষ্টি ব্যবসা - এই দুই থেকেই নাকি মুখ ফিরিয়েছে নতুন প্রজন্ম। তার উপর আছে ফাসাইয়ের কড়া নির্দেশ। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ। তাই ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে জমি খোঁজার কাজ। তবে মনে করা হচ্ছে রসগোল্লা হাব তৈরি হতে পারে উত্তর বা মধ্য কলকাতার কোনও অব্য়বহৃত ট্রাম ডিপোতে।
শুধু রসগোল্লা হাব নয়। সেই খোলনলচে বদলতেই এবার বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সুইট শেফ (Sweet Chef) বা মিষ্টি শেফ তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। ঝাঁ-চকচকে পোশাক পরিহিত প্রশিক্ষিত সুইট শেফ।
কীভাবে প্রশিক্ষণ? ৩ থেকে ৬ মাসের কোর্স। তাতেই শেখানো হবে মিষ্টি তৈরি। যাতে অন্যান্য খাবার তৈরির শেফদের সঙ্গে অনায়াসে পাল্লা দিতে পারে বাংলার মিষ্টি শেফ। এর সঙ্গে বিদেশেও যাতে টাটকা মিষ্টি পাঠানোর বন্দোবস্ত করা যায়, তার জন্যও উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা। আর সেখানে শুধু মিষ্টি নয়, বাঙালির আরেক প্রিয় মুখরোচক, চানাচুরও সামিল এই উদ্যোগে।