তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে বিয়ে করতে চান এক যুব তৃণমূল নেতা। কিন্তু বিয়েতে নারাজ কাউন্সিলর। প্রত্যাখ্যাত হয়ে এলাকায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই যুব নেতার বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলরের দাদা। অন্যদিকের প্রতীক দে নামে ওই যুবনেতার অভিযোগ, কথা দিয়েও কথা রাখেননি রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার।
কাউন্সিলরের দাবি, তাঁর করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন প্রতীক। খাসজমি দখল এবং বিক্রিতে তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে৷ এরপর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই যুবনেতা। তিনি প্রত্যাখ্যান করলে মত্ত অবস্থায় লোকজন নিয়ে বাড়িতে হামলা করা হয়। গভীর রাতেও বাড়িতে চড়াও হয়েছেন অভিযুক্তরা। যাবতীয় প্রমাণ তিনি দলীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছেন বলে দাবি পাপিয়ার। তাঁর অভিযোগ, মাসে মাসে ৫০ হাজার করে 'ভাগের টাকা' দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রতীক। তিনি তা-ও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
যুব তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, কাউন্সিলর তাঁকে সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিকের সঙ্গে অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন। দামী গাড়ি চড়ছেন, উইকেন্ডে পার্টি করছেন, কিন্তু ওয়ার্ডের কাজ করছেন না। তাঁর বিরুদ্ধে কাউন্সিলর মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলে দাবি প্রতীকের।