সাড়ে ৬ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর দিন আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সোমবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের অফিসে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মল ঘোষের মোবাইল ফোনও খতিয়ে দেখা হয়। তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হয়, তরুণী চিকিৎসকের যেদিন দেহ সৎকার করা হয়েছিল, সেদিন কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি। কারও থেকে কোনও নির্দেশ তাঁর কাছে এসেছিল কিনা! তিনি কাউকে কোনও নির্দেশ দেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এই নিয়ে সিবিআইয়ের তরফে মন্তব্য করতে রাজি হননি কোনও আধিকারিক। ৯ অগাস্ট সন্ধ্যায় ওই তরুণী চিকিৎসকের পড়ুয়ার দেহ দাহ করা হয়। দ্রুত দাহ কাজ সারার জন্য শ্মশানে নির্মল ঘোষ প্রভাব খাটান বলেও অভিযোগ উঠেছে। শ্মাশানে তাঁর উপস্থিতির একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্মশানে যান সিবিআই আধিকারিকরা। শ্মশানের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেনও তৃণমূল বিধায়ক। দেহ সৎকারে তাড়াহুড়ো করা হয়েছিল কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। সব তথ্য নিয়ে নির্মল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা।