আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে ত্রিধারা সম্মেলনী পুজোর সামনে স্লোগান।এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই ধৃত ৯ জনকেই এবার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এক হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। হাই কোর্ট জানিয়েছে, তাঁদের হেফাজতে রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। একই সঙ্গে নির্দেশিকা, ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই রক্ষাকবচ বজায় থাকবে। প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দিতে হবে। কোনও পুজোর ২০০ মিটারের মধ্যে স্লোগান দেওয়া যাবে না। ডিসটার্ব করা যাবে না রাজ্য সরকারের কার্নিভালকেও। ত্রিধারা মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং প্ল্যাকার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের স্লোগান ঘৃণার নয় বলেই মনে করে আদালত। কারণ তা কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেনি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই স্লোগান এখন অনেক মানুষই দিচ্ছেন। এদিন আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে হাই কোর্টের এই নির্দেশ পাওয়ার পর উল্লাস প্রকাশ করেন তাঁরা।
শুক্রবার এই মামলায় হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চের শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন রাজ্যের কাছে হাই কোর্টের বিচারপতি জানতে চান, ওই মন্ডপে প্রতিবাদ করতে যাওয়া অপরাধ কিনা। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওখানে যাওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ হয়েছে। ওখানে ধৃতরা শান্তি নষ্ট করার জন্য গিয়েছিল। তাঁরা বড় চক্রান্তের ইঙ্গিত পেয়েছেন। হাই কোর্টে রাজ্য জানায়, তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। এই অবস্থায় হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
ধৃতদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে চান যার FIR-এর ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই বিট্টু কুমার ঝাঁ কে? তিনি কি ত্রিধারা সম্মেলনীর কেউ! রাজ্য পাল্টা জানায়, তিনি স্থানীয় মানুষ। তখন বিচারপতি পাল্টা জানতে চান, তিনি কীভাবে সবার নাম কীভাবে জানলেন! রাজ্য আদালতে জানিয়েছে, প্রতিবাদ করা অধিকার সবার আছে। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বড় চক্রান্তের কথা জানতে পারা যায়। এরপরই তদন্তে নেমে এদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
যদিও রাজ্যের যুক্তি ধোপে টেকেনি। ৯ জন ধৃত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।