পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল-কাঁটা রেয়াত করা হবে না। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগেই তাঁদের নির্বাচন থেকে সরে যেতে অনুরোধ করা হল। শনিবার কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বসেছিল কৌশল বৈঠক। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। নির্দল হয়ে পঞ্চায়েতে জিতলেও তাঁদের দলে ফেরানো হবে না বলেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্টে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির পথেই হাঁটবে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলে দাবি, গত পুরসভার ভোটেও এই একই ফর্মূলা নিয়েই মাঠে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবং তাতে সফলও হয়েছিল শাসক দল। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও সেই একই পথে হাঁটল তারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে শেষ বেলায় মোট আসনের প্রায় ১২ হাজার মনোনয়ন বেশি জমা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, প্রতিটি জেলায় ভোট যাতে ভাগ না হয়ে যায়, সেই কারণেই নির্দল প্রার্থী আগাম মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, মনোনয়ন পরীক্ষার প্রথম দিনেও বেশ কিছু জায়গা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূলের জয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফলতা, বাঁকুড়া এবং হাওড়া থেকে তৃণমূলের কার্যত জয়ের খবর মিলেছে।