১৩ বছরে প্রথমবার রায়গঞ্জ। CAA বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে বাংলার দুই মতুয়া গড়কে নিজেদের পালে টানা। দীর্ঘ টালবাহানার পর ভোট হওয়া মানিকতলা নিজেদের দখলে রাখা। শনিবার চুম্বকে এটাই বাংলার চার উপ-নির্বাচনের ফল। যেখানে রাজ্যে লোকসভা ভোটের পর ফের একবার বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। গণনার ফলে প্রায় ৪৯ হাজার ভোটে রায়গঞ্জ জিতলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। বাগদায় প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৪ হাজার ভোটে জিতলেন মধুপর্ণা ঠাকুর। আর বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে নদিয়ার মথুয়া গড় থেকে ফের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। মানিকতলা রয়ে গেল পাণ্ডে পরিবারের হাতে।
২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভায় ২১৩ আসন জিতে বাংলায় ক্ষমতা ধরে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিনের এই জয়ের ফলে তাতে আরও তিনটি আসন যুক্ত হল। উল্টোদিকে আরও তিনটি আসন কমে গেল রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপির। কারণ, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েই ভোটে লড়াই করেছিলেন তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী এবং মকুটমণি অধিকারী। বাগদায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর বদলে প্রার্থী করা হয়েছিল ঠাকুরবাড়ির মধুপর্ণাকে। ২৫ বছর বয়সে বিধায়ক হয়ে যিনি রাজ্য বিধানসভার সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক।
রায়গঞ্জ থেকে বাগদা, রানাঘাট থেকে মানিকতলা, উপ-নির্বাচনে চারে চারের পর সব জয়ী প্রার্থী জানিয়েছেন, এই জয় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয়। তাঁদের এই জয় আরও সহজ হয়েছে সংগঠক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে। হিসাব বলছে, উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া গড় বাগদায় ১৩ বছর পর ফের ঘাস-ফুল ফুটল। রাজ্যে এখনও বাকি রয়েছে আরও উপ-নির্বাচন। সেই তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি, মেদিনীপুর মতো কেন্দ্র।