গরুপাচার তদন্ত ও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে হাজিরা দেওয়ার ব্যাপারে সিবিআইয়ের (CBI) থেকে একমাস সময় চেয়ে নিয়েছেন বীরভূম (Birbhum) জেলার তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শারীরিক অসুস্থার (Health Condition) কথা উল্লেখ করে গত শনিবার এবং সোমবার সিবিআইকে আলাদা আলাদা দুটো চিঠি দিয়েছেন অনুব্রত। তাঁকে আপাতত জেরা না করলেও, একদম যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে এমনটাও কিন্তু নয়। সূত্রের খবর, অনুব্রত গতিবিধির উপর নজরদারি আরও বাড়াচ্ছে কেন্ত্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সে কারণে তাঁর পাসপোর্ট (Passport) চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
যদিও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছেন, তাঁর কোনও পাসপোর্ট নেই। তবুও ঝুঁকি নিতে চায় না সিবিআই। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পাসপোর্ট দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন সিবিআই অফিসাররা।
এদিকে, সূত্রের খবর শর্তসাপেক্ষে সিবিআইয়ের (CBI) সামনে হাজিরা দিতে রাজি হয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubarata Mondal)। সূত্রের খবর, আগামী ২১ মের পর তিনি সিবিআই-এর মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত। সোমবারই সিবিআইকে ফের একটি লম্বা চিঠি দিয়েছেন অনুব্রত। তাতে নিজের শারীরিক অবস্থা উল্লেখ করেছেন। ওই চিঠিতে অনুব্রত লিখেছেন, তাঁর শরীরের তিন জায়গায় অসহ্য ব্যথা। দাঁত, মলদ্বার ও অণ্ডকোষের ব্যথায় তিনি কাতর সংক্রমণের কারণে অণ্ডকোষের ব্যথা অসহ্য হয়ে উঠেছে। চিকিৎসক তাঁকে চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।
এই একই বয়ান গত শনিবার নিজাম প্যালেসে গিয়ে সিবিআইয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। এদিনও তিনি জানান, অনুব্রত শারীরিক অবস্থা এখনও ভাল নয়। চিকিৎসকরা তাঁর শরীরের উপর নজর রাখছেন। এই পরিস্থিতিতে কোনও জেরা বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেওয়া অনুব্রত পক্ষে সম্ভব নয়।
গত শুক্রবার ১৭ দিন পর এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন অনুব্রত। এরপর জোড়া নোটিস দিয়ে তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। শনিবার গরুপাচার মামলায় সিবিআইকে অনুব্রত জানিয়েদেন, তিনি অসুস্থ আসতে পারছেন না। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তাঁর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, এই ব্যাপারে হাই কোর্টের থেকে তাঁদের অনুমতি নেওয়া আছে।