নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিনের ইডি হেফাজত। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালতে ঢোকার আগে এই তৃণমূল নেতা দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ। কিন্তু আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ পেশ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি। আদালতে দাবি করা হয়েছে, এই তৃণমূল নেতা নিজের এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বেশ কিছু লোকের থেকে টাকা তুলেছিল। মূলত মানিক ভট্টাচার্য ও কুন্তল ঘোষের মিডল ম্যান হয়েই কাজ করতেন।
এদিকে শান্তনু গ্রেফতার হতেই সামনে আসছে তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। হুগলির এই তৃণমূল নেতার নামে একাধিক রেস্তোরাঁ এবং জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সামান্য একজন সিম বিক্রেতা থেকে প্রায় উল্কার মতো উত্থান হয়েছিল শান্তনুর। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের কাছে এত পরিমাণ সম্পত্তি কী ভাবে এল, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁর আত্মীয়দের দাবি, শান্তনুকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে এলাকায় নিজেকে প্রভাবশালী বলেই দাবি করতেন এই তৃণমূল নেতা।
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে শান্তনুকে নিজেদের হেফাজতে ১৪ দিন রাখার আবেদন জানিয়েছিল ইডি। তা আপাতত তিন দিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এরমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের থেকে টাকা নেওয়া সোমা চক্রবর্তীকে ৫০ লাখ টাকা দ্রুত ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।