ছাত্র সমাজের ডাকে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযান। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মঙ্গলবার ফের উত্তপ্ত হতে পারে কলকাতা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই মিছিলের আড়ালে বড়সড় অশান্তির ছক রয়েছে। তাই নবান্ন অভিযানের দিন কার্যত দুর্গে পরিণত করা হচ্ছে নবান্ন চত্বর। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। শনিবার থেকেই এলাকা পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে মঙ্গলবার নবান্ন ও ওই চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ২১ জন আইজি ও ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। থাকছেন ১৩ জন এসপি ও ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। এডিসিপি ও এসপি থাকবেন ১৫ জন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন এসি বা ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার কর্তারা। ২৬ জন ইন্সপেক্টর থাকবেন। সব মিলিয়ে ২ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এদিকে আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল করে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মিলিয়েছে কেন! এই প্রশ্ন তুলে বেশ কয়েকটি স্কুলকে নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে হাওড়ার তিনটি স্কুল ও পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্কুল থেকে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই হুগলি থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, একাধিক স্কুলে মিছিল করেন ছাত্র ও অভিভাবকরা। শনিবার দুপুরে মিছিল করেন পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না দক্ষিণ আনুখা মোক্ষদা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। একই ইস্যুতে মিছিল হয়েছে হুগলির উত্তরপাড়া ও নদীয়ার ফুলিয়ার দুটি স্কুলেও।
শিক্ষা দফতরের শো-কজ নিয়ে ক্ষোভ অভিভাবক ও শিক্ষক মহলেও। তাঁদের অধিকার লঙ্ঘিত করার অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। এই প্রসঙ্গে শনিবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, "একটা বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে। স্কুল সময়ের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করুক, সেটাই চাই। কোথাও কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটলে তা আলাদা বিষয়। কেউ যদি স্কুল ছুটির পর প্রতিবাদ মিছিল করেন, তাহলে আপত্তি নেই। তবে দেখা যাচ্ছে, মিছিলে ছোটদের শামিল করা হচ্ছে। যারা এই বিষয়ে কিছু জানেই না। সবাইকে একটা জেনারেল গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে।"