স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে (JU Student Death) গ্রেফতার আরও দু'জন । জানা গিয়েছে সৌরভকে জেরা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পড়ুয়ার নাম উঠে আসে । ধৃতেরা হলেন মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। শনিবার তাঁদের খানায় ডেকে পাঠানো হয় । তারপর রাতভর চলে জেরা । রবিবার সকালে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দু'জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া । ২০ বছরের মনোতোষ (Monotosh Ghosh) সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র । বাড়ি হুগলির আরামবাগে । তাঁর গেস্ট হিসেবেই হোস্টেলে থাকছিলেন স্বপ্নদীপ । এই মনোতোষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছিলেন স্বপ্নদীপের বাবা । অন্যদিকে, বছর ১৯-এর দীপশেখর (Dipsekhar Dutta) অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাঁকুড়ার বাসিন্দা তিনি । সৌরভকে জেরাই তাঁর বিষয়েও জানতে পারে পুলিশ ।
স্বপ্নদীপ কুন্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । তাঁর বিরুদ্ধে স্বপ্নদীপের উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে । উঠে এসেছে ব়্যাগিং তত্ত্ব । স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগ, ছেলের মৃত্যুর পিছনে দায়ী সৌরভই । কিন্তু, অঙ্কে স্নাতকোত্তর সৌরভের দাবি, তিনি নির্দোষ । তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সৌরভকে ফাঁসানো হচ্ছে ।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক তথ্য উঠে আসছে পুলিশের কাছে । সম্প্রতি পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, স্বপ্নদীপের ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন সৌরভ । মৃত্যুর আগে যখন পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন স্বপ্নদীপ, সেইসময় নাকি তাঁকে ঠিক করে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । স্বপ্নদীপের পরিবারের অভিযোগ, সব কিছুর পিছনে রয়েছেন সৌরভ চৌধুরী । এক সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন তাঁরা ।
এদিকে, শনিবার সন্ধেবেলায় রানাঘাটের রথতলায় স্বপ্নদীপের বাড়ি যায় পুলিশের চার সদস্যের একটি দল । ঘণ্টাখানেক স্বপ্নদীপের মামার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে । এমনকী, স্বপ্নদীপের মামারবাড়ি থেকে দুটি খাতাও সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা, যেখানে হাতের লেখা ছিল স্বপ্নদীপের ।