আরজি কর আবহে রাজ্যবাসীকে উৎসবে ফেরার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে তাঁর এই ঘোষণার পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে সমাজ মাধ্যমে সরকারি এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই আরজি কর আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার কৌশল নিচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলে দাবি, প্রায় একমাস কেটে যাওয়ার পর পদ্মনেতাদের উপলব্ধি পুজোর আবহে এই আন্দোলনকে যদি জিইয়ে রাখতে হয়, তাহলে আরজি করের স্লোগান গ্রামে নিয়ে যেতে হবে। আর তাই পুজোর আগেই এই আন্দোলনকে গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ফের উঠতে চলেছে আরজি কর মামলার শুনানি। সেইদিকেই তাকিয়ে রাজ্য বিজেপির নেতারা। কারণ, তাঁরা চান এবার দেখে শুনে পা ফেলতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত এক মাসে আরজি কর আন্দোলনে বিজেপি নেতাদের ভূমিকা নিয়ে খুশি হতে পারেননি কেন্দ্রীয় নেতারা। বিশেষ করে যে গতিতে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বঙ্গের পদ্ম নেতারা।
এখন বিজেপির কৌশল মফস্বল থেকে এই আন্দোলনকে এবার আল পথে নিয়ে যেতে হবে। প্রায় রোজ আরজি করের ঘটনার কথা গ্রামের মানুষের কানে তুলে দিতে হবে। তাই প্রতিটি মণ্ডল সভাপতিতে এই ব্যাপারে আগাম কৌশল তৈরিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরজি করের ঘটনায় একইদিনে কালীঘাট-নবান্ন এবং লালবাজার অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তা এখনও প্রস্তাব আকারেই রয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই এবার আরজি কর আন্দোলনকে প্রান্তিক মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।