সামনেই কালী পুজো, দীপাবলী। কিন্তু আলোর উৎসবের আগেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। যার মোকাবিলায় এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নবান্ন। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আন্দামান সাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত প্রতিমুহূর্তে শক্তিশালী হলেও এখনও তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি।
হাওয়া অফিস এখনও এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়নি। এই নামটি তাইল্যান্ডের দেওয়া। উচ্চারণ অনুযায়ী, এটি সি-তরাং। এটি আসলে তাইল্যান্ডের বাসিন্দাদের পদবি। ভিয়েতনামের ভাষায় যার অর্থ পাতা। ২০২০ সালে হাওয়া অফিসের দেওয়া ১৬৯টি ঝড়ের নামের মধ্যে এটি একটি।
ইতিমধ্যেই এই ঝড় মোকাবিলায় পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। শুক্রবার এই ঝড় মোকাবিলায় সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, এই ঝড় মোকাবিলা করতে বিদ্যুৎ দফতর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিধাননগরের বিদ্যুৎভবনে বিদ্যুৎ দফতরের সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
বৈঠকের পর বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ দফতরেরে কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সমস্ত কাস্টমার কেয়ার এবং সাবস্টেশন সারাদিন কাজ করবে। প্রায় ৬৯ হাজার আধিকারিক ও কর্মী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে। সিত্রাংয়ের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর ৮৯০০ ৭৯৩৫০৩/ ১৯১২১ চালু করা হয়েছে।