বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পেশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে সেই বিলে সই করার জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই বিলের সঙ্গে টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই কারণে ওই বিলে সই করতে পারছেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কী জানানো হয়েছে?
সংবাদসংস্থা PTI কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাজভবনের এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি বিলের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল রিপোর্ট দেওয়া জরুরি। যেখানে বিল সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য থাকে।
রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিলটি পেশ করেন। এবং তারপর বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। রাজভবনের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও বিলটি পাঠানো হলেও কোনও টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। সেই কারণে রাজ্যপাল এই গুরুত্বপূর্ণ বিলটিতে সই করতে পারছেন না। তাঁর আরও অভিযোগ, শুধু এই বিলটির ক্ষেত্রে নয়, কোনও বিলের ক্ষেত্রেই টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয় না। সেইকারণে একাধিক বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই বিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজ্যপাল। তিনি জানিয়েছিলেন, কোনও রাজ্য সরকার হোমওয়ার্ক করেনি। কারণ ওই বিলের সঙ্গে টেকনিক্যাল রিপোর্ট সংযুক্ত করা হয়নি।
বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত, ধর্ষণ বিরোধী অপরাজিতা বিলটির সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে এই বিলটি অন্য রাজ্যের অনুরূপে তৈরি করা হয়েছে। যা একপ্রকার অন্যবিলের অনুকরণ।
অপরাজিতা বিল কী?
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ধর্ষণ বিরোধী এবং নারী সুরক্ষার জন্য তিনি নতুন এবং তীব্র আইন আনার দাবি জানাবেন। সেইমতো মঙ্গলবার বিধানসভায় 'অপরাজিতা' নামে একটি উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল সংশোধনী বিল ২০২৪ পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই বিলে মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টা কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ধর্ষণ বন্ধ করতে কঠোরতম শাস্তির পাশাপাশি দ্রুত বিচারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে অপরাজিতা বিলে। এর পাশাপাশি তদন্ত শেষ করারও সময়সীমা জানানো হয়েছে।