বর্ষা বিদায় নিলেও বৃষ্টি থামার নেই । সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার । বেলা বাড়লেই ঝেঁপে নামছে বৃষ্টি । তার মধ্যে একের পর এক দুর্যোগ বাংলার আকাশে । মধ্য আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে । যা সোমবারই নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে । এমনই জানিয়েছে মৌসম ভবন । আবার বিশ্বের কয়েকটি আবহাওয়া মডেল বলছে ঘূর্ণাবর্তটির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে 'ডানা' । যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলায় । আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলার উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে ।
রবিবার বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে । সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে । ২১ অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বর্জ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর দক্ষিণের সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে । বিশেষ করে উপকূলের এলাকাগুলির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে ।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । রবিবার উপরের পাঁচ জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । উত্তরের জেলাগুলিতেও বুধবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়তে পারে ।
রবিবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে । হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে । শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে ।
এদিকে, দুর্যোগের পূর্বাভাসের মধ্যেই গঙ্গা ভাঙনের ফলে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম । মালদার মানিকচকে গঙ্গার ভাঙনের কারণে ভিটেমাটিহারা গ্রামবাসী । আবার বসিরহাটে ইছামতি নদীর প্রায় ৬০ ফুট বাঁধ ভাঙনের ফলে বাদুড়িয়ার পশ্চিম কাঁকড়াসুতি , কোটাপাড়া দুটি গ্রাম প্লাবিত হয় । সমস্য়ায় পড়ে গিয়েছে কয়েকশো পরিবার । অনেকে ভিটেমাটিহারা । আবার চাষের জমিও ডুবে গিয়েছে । ফলে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের । মাছ চাষেরও ক্ষতি হয় । তবে, জানা গিয়েছে, রাতারাতি স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পূর্ত দফতরের উদ্যোগে এবং গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় নদীর বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়েছে ।