বঙ্গোপসাগরে ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। ওই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমেই ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' রূপে আছড়ে পড়বে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাওয়া অফিস থেকে বলা হয়নি কোথায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে, আবহবিদদের ইঙ্গিত অনুযায়ী, বাংলার মানুষের জন্য সুখবর। কারণ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আছড়ে পড়তে পারে পড়শি বাংলাদেশে। ফলে, পশ্চিমবঙ্গ সম্ভবত বেঁচে যেতে পারে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে।
দুই বঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিলেও, আপাতত বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না বঙ্গবাসীর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যেটি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হবে। ফলে, কালীপুজোয় ভাসবে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গ। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, শুক্রবার নিজের শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণাবর্তটি। এরপর শনিবার সেটি গভীর নিম্মচাপে পরিণত হবে। ২৩ অক্টোবর, রবিবারের পর আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম অভিমুখেই এগোবে। এই পথে সোজা এগিয়ে গেলে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পৌঁছত। কিন্তু হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, নিজের রুট বদলে অন্ধ্র লাগোয়া পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ডান হাতি অর্থাৎ, উত্তর-উত্তরপূর্ব অভিমুখে বাঁক নিতে পারে এই নিম্নচাপ। এরপর তা আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারায় নিয়ে ধেয়ে আসবে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে। যদিও সিত্রাংয়ের চূড়ান্ত গন্তব্য বাংলাদেশের সুন্দরবন হওয়ার সম্ভবনাই প্রবল।
জলবায়ুগত ভাবে পশ্চিমী বায়ুপ্রবাহের পাল্লায় পড়ে গেলে ঘূর্ণিঝড়ের উত্তর-পূর্ব অভিমুখে অভিমুখে যাওয়ার ঝোঁক বেড়ে যায়। সেই কারণেই বাংলার চেয়ে বাংলাদেশে গিয়ে আছড়ে পড়ে বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়।