আজ থেকে সাড়ে চার দশক আগে দেশে ঘটেছিল এক নিঃশব্দ বিপ্লব!আইভিএফ প্রযুক্তির সাহায্যে জন্ম নিয়েছিল ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি। বিপ্লবের কাণ্ডারি ছিলেন কলকাতার এক চিকিৎসক ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ডাক্তারবাবু সেই কন্যা সন্তানের নাম রেখেছিলেন দুর্গা। পুরো নাম দুর্গা কণকপ্রিয়া আগরওয়াল। দুর্গা বিশ্বের দ্বিতীয় টেস্ট টিউব বেবি। প্রথম টেস্ট টিউব বেবির জন্ম দুর্গার মাত্র ৬৭ দিন আগে ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই ইংল্যান্ডের ওল্ড হ্যাম শহরে। সে কারণে ২৫ জুলাই সারা বিশ্বেই উদযাপিত হয় ওয়র্ল্ড আইভিএফ ডে।
ভারতে নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটানো মানুষটা কিন্তু জীবদ্দশায় যোগ্য স্বীকৃতি পাননি। অনেকখানি লাঞ্ছনা, বঞ্চনা অভিমান নিয়ে একসময় বেছে নিয়েছিলেন আত্মহননের পথ। চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ৪০ বছর পর কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে বসানো হয়েছে তাঁর আবক্ষ মূর্তি। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন তাঁরই হাতে জন্ম নেওয়া কণকপ্রিয়া, তাঁর দুর্গা।
১৯৬৭ থেকে ১৯৭৬— দীর্ঘ ন’বছর ধরে নীলরতন সরকার হাসপাতালের গবেষণাগারে একনাগারে আইভিএফ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছিলেন চিকিৎসক মুখোপাধ্যায়। ১৯৭৬ সালে তাঁকে বদলি করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। সপ্তাহান্তে কলকাতায় ফিরে এনআরএস-এর পরীক্ষাগারেই গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন সুভাষবাবু। সেই নিরলস পরিশ্রমের ফসল দুর্গা। পথপ্রদর্শক সেই গবেষণার ফলস্বরুপ কণকপ্রিয়ার মা-বাবার মতো আরও বহু, নিঃসন্তান দম্পতি, যারা মা-বাবা হতে চেয়েছেন, শারীরিক কোনও প্রতিবন্ধকতার জন্য পারেননি, তাঁদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
১৯৬৭ থেকে ১৯৭৬— দীর্ঘ ন’বছর ধরে তিল তিল করে এন আর এসেই গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন সুভাষবাবু। সর্বক্ষণ সেখানে যুগান্তকারী আবিষ্কারের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতেন। কিন্তু এক অজানা কারণে ১৯৭৬ সালে তাঁকে বদলি করা হয় বাঁকুড়ায়। সুভাষবাবুর বহু অনুরোধ সত্ত্বেও তৎকালীন স্বাস্থ্যকর্তারা সেই নির্দেশ রদ করেননি। অগত্যা বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে যোগ দিলেও সপ্তাহান্তে কলকাতার বাড়িতে ফিরে হাসপাতালের ছোট পরীক্ষাগারেই গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন সুভাষবাবু।
আজ থেকে সাড়ে চার দশক আগে দেশে ঘটেছিল এক নিঃশব্দ বিপ্লব!আইভিএফ প্রযুক্তির সাহায্যে জন্ম নিয়েছিল ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি। বিপ্লবের কাণ্ডারি ছিলেন কলকাতার এক চিকিৎসক ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ডাক্তারবাবু সেই কন্যা সন্তানের নাম রেখেছিলেন দুর্গা। পুরো নাম দুর্গা কণকপ্রিয়া আগরওয়াল। দুর্গা বিশ্বের দ্বিতীয় টেস্ট টিউব বেবি। প্রথম টেস্ট টিউব বেবির জন্ম দুর্গার মাত্র ৬৭ দিন আগে ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই ইংল্যান্ডের ওল্ড হ্যাম শহরে। সে কারণে ২৫ জুলাই সারা বিশ্বেই উদযাপিত হয় ওয়র্ল্ড আইভিএফ ডে।
ভারতে নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটানো মানুষটা কিন্তু জীবদ্দশায় যোগ্য স্বীকৃতি পাননি। অনেকখানি লাঞ্ছনা, বঞ্চনা অভিমান নিয়ে একসময় বেছে নিয়েছিলেন আত্মহননের পথ। চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ৪০ বছর পর কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে বসানো হয়েছে তাঁর আবক্ষ মূর্তি। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন তাঁরই হাতে জন্ম নেওয়া কণকপ্রিয়া, তাঁর দুর্গা।
আজ থেকে সাড়ে চার দশক আগে দেশে ঘটেছিল এক নিঃশব্দ বিপ্লব!আইভিএফ প্রযুক্তির সাহায্যে জন্ম নিয়েছিল ভারতের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি। বিপ্লবের কাণ্ডারি ছিলেন কলকাতার এক চিকিৎসক ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়। ডাক্তারবাবু সেই কন্যা সন্তানের নাম রেখেছিলেন দুর্গা। পুরো নাম দুর্গা কণকপ্রিয়া আগরওয়াল। দুর্গা বিশ্বের দ্বিতীয় টেস্ট টিউব বেবি। প্রথম টেস্ট টিউব বেবির জন্ম দুর্গার মাত্র ৬৭ দিন আগে ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই ইংল্যান্ডের ওল্ড হ্যাম শহরে। সে কারণে ২৫ জুলাই সারা বিশ্বেই উদযাপিত হয় ওয়র্ল্ড আইভিএফ ডে।
ভারতে নিঃশব্দে বিপ্লব ঘটানো মানুষটা কিন্তু জীবদ্দশায় যোগ্য স্বীকৃতি পাননি। অনেকখানি লাঞ্ছনা, বঞ্চনা অভিমান নিয়ে একসময় বেছে নিয়েছিলেন আত্মহননের পথ। চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ৪০ বছর পর কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে বসানো হয়েছে তাঁর আবক্ষ মূর্তি। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন তাঁরই হাতে জন্ম নেওয়া কণকপ্রিয়া, তাঁর দুর্গা।
১৯৩১-এর ১৬ জানুয়ারি অধুনা ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে সুভাষ ডাক্তারের জন্ম। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করে ১৯৬৭ তে তিনি শুরু করেন ওভিউলেশন এবং স্মার্মাটোজেনেসিস নিয়ে গবেষণা। বাকিটা ইতিহাস, যে ইতিহাস প্রায় অর্ধ শতক ছিল আড়ালে। তাঁকে মনে রাখার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের, প্রতিটা ভারতবাসীর।