শীত পড়তে না পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়েবাড়ির মরশুম। এই সময় বিয়েবাড়ির পাশাপাশি বড়দিন, বছর শেষের পার্টি একের পর ভোজ উৎসব লেগেই থাকে। যেখানে স্টার্টার থেকে শুরু করে ডেজার্ট সবই থাকে। এত হইহুল্লোড়ে মন ভাল থাকে বটে, কিন্তু চাপ পড়ে শরীরের উপর। তাবলে তো আর খাওয়াদাওয়া বাদ দিলে চলে না। তাই আজ জেনে নেব এমন দশটি ঘরোয়া টিপস যেগুলি মেনে চললে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া করলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ওজন?
১. বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ থাকলে আগের দিন এবং পরের দিন হালকা খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে, পেট খালি রাখা চলবে না কিন্তু। বরং আগের দিন ফাইবারযুক্ত হালকা খাবার রাখুন।
২. বিয়ে বাড়ির মরশুমে তেল, ঝাল, মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার আগের দিন ডায়েটে রঙিন সবজি, ফল, সেদ্ধ, স্যালাড এই জাতীয় খাবার রাখুন।
৩. বিয়েবাড়িতে খাওয়া দাওয়া হবেই। কিন্তু এই কয়েকটা দিন সহজে হজম হবে এমন খাবার রাখা উচিত খাদ্যতালিকায়।
৪. বিয়ে বাড়িতে গিয়ে একেবারে অনেকটা খাবার খাবে না। কিছু সময় পর পর খাবার খান। প্রয়োজনে মশলাদার এবং কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫. বিয়েবাড়ির মরশুম হোক কিংবা না হোক সবসময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত। আর বিয়েবাড়ির মরশুমে বেশি করে জলপান করা উচিত। কারণ জলের কোনও বিকল্প নেই।
৬. বিয়ে বাড়ির মরশুমে অন্তত ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করতেই হবে। প্রয়োজনে ব্যায়ামের পাশাপাশি ৩০ মিনিট হাঁটতেও পারেন তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৭. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সময়ে খাবার খান। যদি সারাদিনে পাঁচবার খাবার খান সেক্ষেত্রে সময় ভাগ করে নিন। অনেক রাত করে খাবার খাবেন না।
৮. বিয়েবাড়িতে এমনিই নানা রকম খাবারের আয়োজন করা হয়। তাই এই সময়ে বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত না। আর বাইরের খাবার পুরোপুরি বাদ দিলে ওজন অনায়াসেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৯. বিয়েবাড়ি বা অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়ার দিনগুলিতে অনিয়ম হবেই, কিন্তু বাকি দিনগুলিতে আইসক্রিম বা মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলি স্ন্যাক থেকে ছেঁটে ফেলে তার বদলে আপেল, কলা, পেয়ারা সঙ্গে কিছুটা ড্রাইফ্রুটস রাখতে পারেন।
১০. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে একটু স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন। যেমন বাটার চিকেনের বদলে চিকেন তন্দুরি, বিরিয়ানির বদলে পোলাও জাতীয় খাবার পাতে রাখলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে আবার বিয়েবাড়িতে খাওয়াও হবে।