বুধবার মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির খবরে যে তাঁরা একেবারেই খুশি নন, তা জানিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এমনকি, তৃণমূলপন্থী সরকারী কর্মীরা এই খবরে আবির খেললেও কিছুটা ক্ষুন্ন ছিলেন তাঁরাও। এর ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই তৃণমূলের শিক্ষা সেল থেকে পদত্যাগ করলেন শিলিগুড়ির ১৪ জন শিক্ষক। এঁদের মধ্যে আবার ১১ জনই পার্শ্বশিক্ষক। ফলে এই ঘটনায় কার্যত দিশেহারা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পদত্যাগী ওই শিক্ষকদের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারের কাছাকাছি ডিএ দিতে হবে।
প্রাপ্য ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনকারীরা বুধবারই জানান, তাঁরা ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন। বরং ডিএ বৃদ্ধির এই পরিমাণকে তাঁরা ভিক্ষার সঙ্গেও তুলনা করেন। বৃহস্পতিবার এই একই দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক দেন আন্দোলনকারীরা।
৩ শতাংশ ডিএ পেলেও কেন্দ্রের তুলনায় ৩২ শতাংশের ফারাক থেকেই যাবে রাজ্যে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারি সংগঠনের এক নেতা জানান, রাজ্য ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করলেও সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। তা না পাওয়ায় একটা অস্বস্তি থেকেই যাচ্ছে। তবে এখন প্রত্যেকেই তাকিয়ে আছেন সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলার দিকে। ১৫ মার্চ শুনানিতে কী রায় দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মচারিরা।